জ্যোতিষ জ্যোতিষ খেলা (বারো রাশির সাধারন ফল: কর্কট রাশি)
কর্কট রাশি ঃ ৪
(২১ শে জুন-২০শে জুলাই) [শ্রাবণ]
কর্কট রাশিতে জন্ম গ্রহণ করলে জাতক কফ, বায়ূ প্রকৃতি, দেবতা সদৃশ্য সুন্দর দেহবিশিস্ট, স্বোপার্জিত ধনভোগী, দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ, কুলশ্রেষ্ঠ, মন্ডলাকার মূর্তি (স্থুল খর্বাকৃতি) এবং অতিশয় ধন্যাঢ্য হন।
১ # রাশিস্বরূপ ঃ
কর্কটরাশি বহুপ্রজ, বহুসঙ্গ ও বহুচরণ। এর চরসংজ্ঞা, স্ত্রীরাশি, পাটল বা শ্বেত-রক্ত মিশ্রবর্ণ, মৃদুশব্দ, শুভ (সৌম্য),কফপ্রকৃতি ¯িœগ্ধস্বভাব, জলতত্ব, জলচারী, সমোদয়, বিপ্রবর্ণ, নিশাবলী, ও *উত্তরদিকের অধিপতি।
২ # কর্কট কেমন ঃ
এদের সেন্স অবহিউমার প্রখর। যে কোন আড্ডার মধ্যমনি। মনোযোগ পেতে পছন্দ করে। যে কোনো ভাবে পরিচিতি চায়। ভীষণ প্রতিহিংসা পরায়ন, প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর। একটুতেই ভেঙ্গে পড়ে। কর্কট দু’প্রকারের হয়ে থাকে ১) শিশুসুলভ, সুন্দর গোলগাল চেহারা ২) ছোট্ট চোখের কৌতুহলী। বেশি মুডি হওয়ায় এরা সহজেই খুশি বা ভয়, দুখী কিংবা ভয়ঙ্কর হতে পারে। সহজেই কোনো কিছু ভোলে না। এরা নিজেদের গোপনে (কথা) লুকিয়ে রাখে। ভেতরের উদ্দেশ্য বোঝা সম্ভব নয়। তার বিবেচনবোধ কম। কৌশল অবলম্বন করা এদের পছন্দ। বিপদে সাহায্য করা এদের পছন্দ, তবে ভেবে চিন্তে। খুব হিসেব করেও চললে বিপদে মুষড়ে পড়ে সে। নিজেদের বাসস্থানের প্রচন্ড ভক্ত। সঞ্চয় যতই থাকুক নিজেকে নিরাপদ ভাবে না। ভালবাসা অর্থ আরও চায়। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা তার সহজাত। সন্তান, খাদ্য এবং অর্থ ভীষণ প্রীয়।
৩# প্রকৃতি ঃ
জাতক বিনয়ী ,স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন, পরিবর্তনপ্রিয়, ও উচ্চাকাঙক্ষী হয়ে থাকেন । ইনি প্রাচীনমতের অনুসারী, পুরাতন নিয়ম – আচারকে ইনি নষ্ট করতে চান না ; প্রাচীন নীতি – রীতিকে বজায় রেখে আধুনিকতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বীয় মতলব গড়ে নেয়াতেই তার একান্ত আগ্রহ। কখনই ইনি আমূল পরিবর্তনের পক্ষপাতী হবেন না অর্থাৎ যুগোপযোগী সংস্কারই তার কাম্য। অথচ পুরাতন নিয়মও তার প্রিয়।
অন্যের দৃষ্টান্ত ব্যতীত স্বীয় উদ্দেশ্যকে উত্তম বিবেচিত করায় অনেক ক্ষেত্রে স্বীয় কল্পনামত কাজ ভালরূপে নিষ্পন্ন করা সহজ সাধ্য হয়ে উঠবেনা কিন্তু তাহলেও ইনি কর্মনিবৃত্ত না হয়ে স্বীয় চিন্তাজাত কর্মপ্রণালীকে সূচারুরূপে পরিচালিত করতে যতেœর ত্র“টি করবেন না স্বীয় মতের বিরুদ্ধে কোনরূপ বাধা-বিঘœ ইনি মানতে চাইবেন না । স্বীয় সবকিছু গ্রহন বা বর্জন করবেন । স্বীয় দোষ ত্র“টি সহজে তার দৃষ্টিগোচর হবে না । জাতক সহানুভূতিশীল, উদার ও দয়াদ্রচিত্ত। অপরের দুঃখ-ব্যথার সমভাগী হয়ে যথাসাধ্য সে-সব দূরীকরণে যতেœর ত্র“টি করবেন ন্ াশত্র“-মিত্র –নির্বিশেষে ইনি সকলের উপকার করতে আগ্রহী হবেন। জাতক যদিও শান্ত প্রকৃতির, তবুও যদি কখনও তার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে ,তাহলে হঠাৎ রেগে গিয়ে এমন কাজ করাও অসম্ভব নয় যে, যার জন্য পরিনামে তাকে বহু অসুবিদাগ্রন্থ হতে হয়। পারিবারিক ব্যাপারে সারাক্ষণ চিন্তা-ভাবনা করবেন। জাতক মিষ্টভাষী ও সামাজিক হওয়ায় যেখানেই যাবেন থাকেন, সমাদর ও সম্মান পেয়ে থাকবেন। লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করে ইনি লোকপ্রিয় হবেন এবং সহজেই সর্বসাধারণের নিকট থেকে প্রচুর সুনাম অর্জৃন করতে পারবেন । জাতক সর্বদাই ভাবুক প্রকৃতির , কোন কাজের ভালমন্দ চিন্তা না করে কাজে প্রবৃত্তি হবেন , ভবিষৎ সম্বন্ধে চিন্তা-ভবনা করা তার পক্ষে পছন্দনীয় নয়। নতুন কোন কিছু তা যদি একটু রহস্যময় হয়, জাতক তাহলে সত্যিই আনন্দত হন। স্বীয় চিন্তধারার মধ্যে এমন কতকগুলো বিশেষত্ব বর্তমান যা অন্যের চরিত্রে সাধারণত দেখা যায় না কিন্তু উদ্দ্যেশ্যসমূহে অবিচল থাকা তার পক্ষে সত্যিই কঠিন । কারণ দ্রুত পরিবর্তনশীল মনোভাবশতঃ সময়বিশেষে মনে নানারূপ ভােেবর উদয় হয়ে পূর্বপরিকল্পিত উদ্দেশ্যসমূহ বানচাল করে দেবে এবং যখন যে ভাবে মনে উদিত হবে, তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। জাতক অনুকরণপ্রিয়,যা কিছু দেখবেন ,যা কিছু শুনবেন, অবিকৃতভাবে তৎসমুদয় করতে আগ্রহী হবেন। তবে অন্যের আবি®কৃৃত কর্মৃপদ্ধতি বা মতাদর্শকে ভেঙ্গে-চুরে সংস্কার করে নিজের বলে প্রচার করতেও জাতক অনেক ক্ষেত্রে আগ্রহী হবেন।
একই ভাবধারা বিশিষ্ট একই ধরণের কাজে দীর্ঘদিন লেগে থাকা জাতকের রুচি বিরুদ্ধ। প্রতিটি কাজই তার পরিবর্তন –পরিবর্ধন ও সংস্কার চাই। যখন যা ইচ্ছে হবে, যে কাজে লাগবেন তখন সে কাজে নিজের হোক বা অন্যের হোক,কিছু যায় আসে না,ইনি সে কাজেই লেগে থাকবেন, সময় বিশেষে কোনরূপ হুজুগে মেতে উঠাও এর পক্ষে অস¤ভব নয়। অস্থির মন-মেজাজের জন্য ন্যায় বিচারের ক্ষমতাও তার থাকবেনা , পূর্বাপর সামঞ্জস্যহীন হওয়ায় তার কোন সুশৃঙ্খলভাবে নিষ্পন্ন হওয়া দুসাধ্য হবে । এবং এজন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ নিন্দাভাজন হতে হবে। কাজেই জাতককে ধীরস্থির চিত্তে বিচার বিবেচনা সহকারে যাবতীয় কর্ম সম্পাদনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
গৃহাদির সাজসজ্জা,আসবাব পত্র, সংসারের প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ নিজের রুচি সম্মত হওয়া চাই। পরিবার পরিজনবর্গের মধ্যেও সবাই তান মতানুসারে চলুক এবং তার একান্ত অনুগত থাক- এই –ই তার একান্ত অভিলাষ। বিদেশ ভ্রমণ তার একান্ত প্রিয় হবে। এবং সর্বদা স্ত্রী- পুত্রাদি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণেই সমধিক আনন্দ পাবেন । স্বীয় ইচ্ছার বিপরীত কোন কিছুই তার পছন্দনীয় নয়। সে জন্য কাজকর্ম বিদেশ ভ্রমণ অবস্থান , চিন্তা ভাবনা , কর্ম ব্যবসায় সবই নিজ ইচ্ছামত হতে হবে। সেটা ভাল বা মন্দ যাই হোকনা কেন ।
একাকী নিঃসঙ্গ জীবন যাপন জাতকের কোষ্ঠিতেই নেই। ইনি লোকজন,সর্বদাই সর্বাবস্থায় সাধারণের সঙ্গে মেলামেশা করে আনন্দচিত্তে বসবাস করতে চাইবেন। বন্ধুবান্ধব জুটিয়ে নিতে পারবেন সহজেই । বিদেশ ভ্রমণকালীন,ট্রেনে-ইষ্টীমারে, যে পথেই চলুন না কেন, অল্পকালের মধ্যেই- দু চারজনের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারবেন। কোন স্থানেই ইনি একাকী থাকতে পারবেন না লোকসঙ্গ ব্যতীত। জাতকের উদারতা ও অমায়ীক ব্যবহারের জন্য পারিপার্শ্বীক অন্যান্য সবাই তাকে যথেষ্ট সমাদর করবে ও ভালবাসবে । সে জন্য যেখানেই যান, যেখানেই থাকেন না কেন, সকলে তাকে ভালবাসবে । আধ্যাতিক বিষয়েও একাকী উপাসনা করে, সাধানা করে উন্নত হওয়া অপেক্ষা যেসব উপাসনা-সাধনায় অন্য পাঁচজন নিয়ে ভগবান চিন্তা করা সম্ভব, সেগুলোই তার চিন্তাপ্রিয় হবে জাতকের মধ্যে ভাবাবেগ প্রবল, সেজন্য ইনি যেদিকে মনোনিবেশ করবেন, সেদিকেই একেবারে তন্ময় হয়ে থাকেন, এজন্যই তার কর্তব্য ,সর্বদা সঙ্গ বিচার পূর্বক সৎসঙ্গ ও সৎ কর্মানুশীলন ব্যতীত জাগতীক বা পারমার্থিক উৎকর্ষতা সম্ভব নয়। অসৎ সঙ্গবাসে অধঃপতিত হয়ে বিবিধ বিপদগ্রস্থ হওয়াও অসম্ভব নয়। কারণ জাতক যে ভাবে মাতবেন, অবশ্যি একবার মাতলে আর ভালমন্দ বিচারের ক্ষমতা তার থাকবে না। কাজেই এ বিষয়ে যথেষ্ট সাবধান হতে হবে।
সঙ্গীত, প্রভৃতি যাবতীয় সুকুমার শিল্পকলা, অভিনয়, যাবতীয় শিল্পকলা, ব্যবসায় ,ভ্রমণ বিষয়ক অথবা ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রবন্ধ-সাহিত্যাদি রচনায় জাতক সিদ্ধহস্থ হবেন এবং এভাবে জাগতিক ব্যপারেও যথেষ্ট প্রশংসা লাভ করবেন।
৪# কর্মদক্ষতা ঃ
জাতকের কর্মক্ষেত্র বিঘœসঙ্কুল। নানারূপ প্রতিবন্ধকতা এসে কর্মসমূহ বা কর্মজীবন বিঘিœত করে তুলবে ,ফলে জাতককে সর্বদা ব্যতিব্যস্ত থাকতে হবে । তবে এ্কটু ধীর- স্থিরচিত্ত হলে স্বীয় সহজাত জ্ঞান ও অধ্যবসায় সহকারে যাবতীয় বাধাবিঘœ অপসারিত করে স্বীয় কর্মপথ ও কর্মপদ্ধতিকে বিপদমুক্ত করে ক্রমাগত উন্নতির উচ্চতম সোপানে পৌঁছাতে পারবেন। স্বীয় পরিবারবর্গের প্রতি উন্নতি ও তুষ্টীবিধানের জন্য স্বীয় মতবিরোধী বা রুচি রিুদ্ধকর কাজে মনঃসংযোগ করাও আদৌ বিচিত্র নয়। জীবনের শেষভাগে উন্নতি ষোলকলায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে এ সময়ে যথেষ্ট সুনাম প্রাপ্তির যোগও পরিলক্ষিত হয় । জনহিতকর সর্ববিধ কাজেই জাতকের কৃতিত্বের পরিচয় প্রদান সম্ভব । গৃহ-পথ কৃষি বিষয়ক যাবতীয় কাজকর্ম, তরল পদার্থের ব্যবসায়ে, হিসাব সংক্রান্ত ব্যবসায়ে বা চাকরি এ সব বিষয়েও শুভ ফল পাবেন। শেষ জীবনে জনহিতকর বিবিধ কার্যে ও ঈশ্বর-উূপাসনায় নিজেকে উৎসর্গ করা বেশী সম্ভব।
৫# কর্মক্ষেত্র ঃ
কর্কটের স্বস্তি দায়ক পেশা দোকানদারী। এ ছাড়া শেফ। সেবাপরায়ণ বলে নাসিং পেশাও উত্তম। এ ছাড়াও সামাজিক কর্মক্ষেত্র ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখাতে পারে।
৬# ভাগ্য ঃ
কর্মজীবনের প্রথম ভাগে প্রাথমিক কার্যারাম্ভে বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিঘœর উদ্ভব হবে। বিচলিত বা ধৈর্যহীন না হয়ে স্থির বুদ্ধি। যাতে অধ্যবসায় সহকারে পূর্ণোদ্যর্মে কাজে অগ্রসর হওয়া বাঞ্চনীয় কর্মক্ষেত্রে অধৈর্যের জন্য বুদ্ধিভ্রম সময়বিশেষে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় অসম্ভব নয়। পরিণামে অনুতাপগ্রস্থ হয়ে মানসিক অশান্তি দেখা দিতে পারে। কাজেই এ ব্যপারে যথেষ্ট সর্তক হয়ে চলতে হবে । দস্যু-তস্করাদির হাতে ধনাপার্জরণের সম্ভাবনা বেশ কয়েকবার দেখা যায়। অধিক উপার্জনের প্রতি প্রবল আকাক্সক্ষা থাকায় বিভিন্ন পরিকল্পনা সময় বিশেষে মনকে আলোড়িত করবে । ফলে কোন কাজই সুচারূপে নিষ্পন্ন করা সম্ভ হবেনা । অর্থের প্রতি যদিও মোহ থাকবে, তবুও উদারতা গুণে অনেক সময়ে ব্যয়বাহুল্য হেতু মানসিক অশান্তি দেখা দেবে । ফলে নিজেকে অবশ্য সাদারণভাবে বেহিসেবী বা অতিচারী নয়। সবক্ষেত্রে সব বিষয়ে একটু হিসাবী হয়ে চলতে পারলেই জাগতিক উন্নতি সম্ভব হবে।
৭# পরিণয় ঃ
যেসব মেয়ে-পুরুষের জন্মতিথি শুক্লা চতুর্র্দশী বা পূর্ণিমা অথবা কৃষ্ণা ষ্ষ্টী বা চৈত্র এদের সঙ্গে বিবাহ হলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার আশা করা যায়। জাতক স্ত্রৈণ হলেও খুঁটিনাটি বিষয়ের ব্যাপারে মতান্তর-মনান্তর হয়ে অনেক সময়ে দম্পতি যুগলের উভয়কে বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে হবে। নিজের একগুয়ে ও খামখেয়ালী ভাব পরিত্যাগ করে যথাসম্ভব উদার ও সরল হয়ে চলতে পারলে সুখে জীবন – যাত্রা নির্বাহ হবে বলেই সমধিক আশা করা যায়।
৮# পরিবার ঃ
আত্মীয়াদির সঙ্গে বেশ মিলে-মিশেই চলতে পারবেন এবং তাদের দ্বারা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সাহায্যও পাবেন, মাঝে মধ্যে তাদের জন্য কিছুটা অর্থক্ষতিও পরিলক্ষিত হয়। সাংসারিক বিপর্যয় কোন কোন সময়ে নিজ জীবন যাত্রায় প্রবল প্রতিবদ্ধকতার সূচনা করবে। মতান্তর হেতু অন্য সবার কাছ থেকে সাময়িকভাবে দূরে অবস্থান করাও বিচিত্র নয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও সংসার সম্বন্ধে তার ভাবনা জাগ্রত থাকবে। জাতক øেহপ্রবণ হলেও শুধু স্বীয় ত্র“টি বশতঃ প্রিয়জনদের কাছ থেকে সাময়িকভাবে বিছিন্ন হয়ে থাকতে পারেন। পুত্র কন্যাদির প্রতি বেশ ¯েœহশীল হওয়া সত্তে¡ও সময়ে তাদের বিরাগ ভাজন হয়ে পড়বেন। জীবনের শেষভাগে জাতক যদি সংসার থেকে দূরে সরে যান, তাহলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
৯# স্বাস্থ্য ঃ
পেটের পীড়া ও শ্লেষ্মাসংক্রান্ত রোগ কখনও কষ্ট দিতে পারে। সময়ে আহার নিদ্রা, ব্যায়াম, নির্মল বায়ূ প্রচুর আলোকযুক্ত স্থানে বসবাস, লঘু পাচ্য দ্রব্য ভক্ষণ এবং একবারে অতিমাত্রায় ভোজন স্বাস্থের পক্ষে অনুকুল। রুক্ষ বা গুরুপাক দ্রব্য ভক্ষণ অহিতকর। জলীয় বস্তু গ্রহণ সুস্বাস্থ্যকর।
১০# প্রণয় ঃ
শুক্লা, সপ্তমী,চতুর্দশ বা পূর্ণিমা অথবা কৃষ্ণা ষষ্ঠি বা ত্রয়োদশী তিথিজাত এবং শ্রবণ, অগ্রহায়ণ,মাঘ বা চৈত্র মাসের জাতক-জাতিকার সঙ্গে আপনার অকৃত্রিম বন্ধুত্ব হবে। বন্ধু বন্ধব অনেক জুটবে, কিন্তু তন্মধ্যে হতে সজ্জন বেছে নিয়ে ঘনিষ্ঠতা করতে হবে। অধীনস্থ জনদের মধ্যেও কেউ কেউ অন্তরঙ্গ হবে। এবং জাতক তাদের প্রিয়পাত্র হয়ে পড়বেন। বন্ধুজনদের অসুবিধার জন্য সময়ে জাতকের বিব্রত হওয়ার আশঙ্কা বর্তমান। তাদের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য জাতকের আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
১১# বিবিধ ঃ
অনেক বার দেশভ্রমণ পরিলক্ষিত হয়। ভ্রমণ বা দূরদেশে অবস্থানকালে আকস্মিকভাবে বিপদ এসে পড়লেও দৈবানুগ্রহে রক্ষা পাবেন। তবে কিছু দুশ্চিন্তা লাঞ্ছনা ও অর্থক্ষতি ভোগ করতে হবে। কোন গুপ্তবিষয়াদির ব্যাপারেও বিদেশ ভ্রমণ যোগ বর্তমান। ভ্রমণে অর্থপ্রাপ্তি যোগ। বিদেশে পর্যটন বা অবস্থানকালে সেজন্য সতর্ক হয়ে চলতে হবে।
১২# বর্ণ ঃ
যাবতীয় নীল রং স্বাস্থের পক্ষে হিতকর ও শ্রীবর্ধক। অসুস্থ অবস্থায় সবুজ রং রোগ নিরাময়কারী। গাঢ় লাল রং সর্বদা বর্জনীয়।
১৩# কর্কট রাশির (চন্দ্র) লক্ষণ ঃ
নারী ভাবাপন্ন, মাতৃভাবের কারক, মধ্যবিত্ত বাড়ীর সম্মানীয়া গিন্নীর মতো।
১৪# কর্কট রাশি (চন্দ্র) কি চায় ঃ
মনস্তত্তের এবং মনোভাবের কারক, চন্দ্র সাহিত্য শিল্পবোধের উম্মেষ ঘটায়। মনে শুদ্ধচিন্তা আনে, ভাবজগতে (ধর্মে) মন পূর্ণ করে, শান্ত করে। চন্দ্র রজোগুণী গ্রহ, অর্থাৎ চন্দ্রের দশায় পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা বাড়ে।
১৫# কর্কট রাশির (চন্দ্র) জন্ম কথা (গ্রীক)
সাগর দৈত্য হাইড্রার ছিল অনেকগুলো মাথা। হারকিউলিসের মহা শত্র“। হারকিউলিস সিদ্ধান্ত নেয় হাইড্রার সং্গে লড়াই করে তাকে নিধন করবে। হাইড্রা অনেক দেবীর কাছে ছিল প্রিয়। হেরা ছিল তাদের একজন। লড়াই শুরু হলে দেবী হেরা লড়াই দেখছে। হাইড্রার শোচনীয় অবস্থা দেখে তাকে ইচ্ছে হল কিছুটা সাহায্য করতে। সে একটি কাঁকড়া পাঠিয়ে দিলহাকিউলিসের বিপক্ষে লড়তে। সে নিজের আসন্ন বিপদ জেনেও এগিয়ে গেল। হারকিউলিসের গোড়ালিতে কামড় বসিয়ে দিল। বীর হারকিউলিসের পায়ের নিচে পড়ে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। এই ক্ষুদে প্রানীর সাহসের বাহবা না দিয়ে পারল না হেরা। সে তারমূর্তি বানিয়ে রাখল রাতের আকাশে।
১৬# রতœ ঃ
ফিরোজা,মুক্তা,মুনস্টোন,পান্না প্রভৃতি রতœ ধারণে স্বাস্থ্যও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে।
৩০# বৈশিষ্ট ঃ
সহানুভূতিশীল, অনমনীয়, ধৈর্যশীল, স্পর্শকাতর, পরিবর্তনীয়, সহজে প্রভাবিত।
৩২# খাদ্য (চন্দ্র) ঃ
মাছ, মাংস, দুগ্ধ হিতকর।
৩৩# ব্যাধি (চন্দ্র) ঃ
যাতীয় স্ত্রী ব্যাধি, জলদোষ পীড়া, গলগন্ড, গোধ, ইত্যাদি
৩৪# ঔষধি ঃ
কদলী, নাগেশ্বর, কহার, কুমুদ, যাবতীয় বৃক্ষলতা
৩৬# হোমিও/বায়োকেমিক ঃ
৩৮# গুণ ঃ
এরা অতীতের ঘটনাগুলোকে ছবির মতো মনে রাখতে পারে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ফলে একই জাতীয় ভ’ল এরা বার বার করে না। কোনো কাজ করার আগে কর্কট সেই অতীত অভীজ্ঞতা ও পরিণতি বের করে আনতে পারে অতি দক্ষতার সঙ্গে। এদের দার্শনিক সত্তা অনেক শক্তিশালী। এদের কল্পনাশক্তি অস্বাভাবিক রকম বেশি এবং সেই কল্পনাশক্তিকে কাজে রূপান্তরিত করতে পারেঅতি সহজে। যে কোনো কাজে এদের যতœশীলতা প্রশংসা পায় সবার কাছে।
৩৯# দোষ ঃ
বদমেজাজি, হীনম্মন্য, দোদুল্যমান, হতাশাবাদী, সহজেই দুঃখ পায়।
ধৈর্যশীল, সংবেদনশীল, সহানুভূতিশীল, প্ররোচনায় সক্ষম, অনুগত, আদর্শবান, কল্পনাপ্রবণ। এরা অতীতের ঘটনাগুলো ছবির মতো মনে রাখতে পারে। যে কোনো কাজে এদের যতœশীলতা প্রশংসা পায় সবার কাছে।
৪১# উপদেশ ঃ
আপনার কল্পনা শক্তি াাপনার বড় সম্পদ। এর জোরে আপনি অনেক কঠিন কাজও সহজে করে ফেলতে পারেন। তবে আপনার বাধা হয়ে দাঁড়ায় ‘পাছে লোকে কিছু বলে’পেছনে কে কি সমালোচনা করলো তা না ভেবে নিজের গতিতে অগ্রসর হোন।